Tenida

টেনিদা

 

== এই ব্লগে প্রদর্শিত অপরের রচনাংশ, স্থিরচিত্র বা অলংকরণের কপিরাইট আমাদের নয় == 

পোস্টের বক্তব্য স্পষ্টতর করতে এগুলি সাজানো হচ্ছে কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থে নয়


'Tenida Treasury' Blog.
বিভিন্ন ইলাস্ট্রেটর-এর কল্পনায় টেনিদা
শিল্পী (বাঁদিক থেকে)
: কমল চ্যাটার্জি, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী, ধীরেন্দ্রনাথ বল, প্রতুল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈল নারায়ণ চক্রবর্তী ।


৭২ বনমালী নস্কর লেন ।
২১ রজনী সেন রোড ।
গড়গড় করে আউড়ে দেবে বাঙালি, দুই ‘দাদা’-র এই জোড়া অ্যাড্রেস ।
কিন্তু টেনিদা-র ঠিকানা ?
নাক-টাক চুলকে ‘পটলডাঙা ...’ অবধি বলে – চুপ !

দোষ নেই । টগবগে টেনি আর কতক্ষণই বা বাড়িতে ?
বরং আট আনার পোস্টকার্ডে লিখুন ‘Bhajahari Mukherjee, C/O Chatujyeder Rowaak
গুঁজে দিন লাল বাক্সে আলুর চপ চর্বণের ফাঁকে নির্ঘাত সেটি খপ করে লুফে নেবেন চার মূর্তির লিডার ।

কিন্তু টেনিদা কে ?
বোঝো ! অ্যায়সা জাড্যাপহ জিজ্ঞাসার কোন অর্থ হয় !

১৯৪৬ সাল
২০ পটলডাঙা  স্ট্রিটে বাসা বাঁধলেন সস্ত্রীক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
(না । গল্পে টেনিদা-র বাড়ির নম্বর কিন্তু অন্য ।)
বাড়িওয়ালার পুত্র প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়

'Tenida Treasury' Blog.
আসল’ টেনিদা, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়

সেই উন্নতনাসা মানুষটির পেট নেম ও পেটানো চেহারা ধার নিলেন লেখক  
ছোটদের জন্য রেখে গেলেন টেনিদা-কাহিনির ট্রেজার চেস্ট ।
সাত দশক পরেও যা পড়ে ‘ডি-লা-গ্রান্ডি’ বলে না চেঁচিয়ে উপায় নেই ।

ভয়ংকর ভীতু । নিঃসীম নির্ভীক । খাসা খাইয়ে ।
ম্যাচে বত্রিশটি গোল-দাতা । পাঁচশো পঞ্চান্নজন মামার ভাগনে । থান্ডার ক্লাবের দলপতি
‘এক চড়ে কান কানপুরে’ প্রভৃতি প্রবচনের প্রবক্তা ।
বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে নামজাদা নাসিকার মালিক । 
ভজহরি-চরিত আরও খুঁটিয়ে জানতে চান ?
টেনিদা ট্রেজারি’ ছেড়ে গুগল করুন ।

অথবা পড়ুন এই অমূল্য মূল্যায়ন । 
টেনিদা-র ৩৩ টি ছোটগল্পের ১৫ টিতেই গরহাজির ক্যাবলা আর হাবুল সেন
সেখানে নায়কের একমাত্র সঙ্গী প্যালারাম বাঁড়ুজ্যে

সেই কাহিনি-কথক লিখেছেন :
“টেনিদা একজন সত্যিকারের গ্রেটম্যান । দু’-একটা চাঁটি-টাঁটি লাগায়, জোর করে খাওয়া-টাওয়াও আদায় করে, কিন্তু আসলে তার মেজাজটা ভীষণ ভালো, বিপদ-টিপদ হলে লিডারের মতো বুক ঠুকে সামনে এগিয়ে যায় ।”

“ ... (টেনিদা-র) কাজের সময় একেবারে অন্য চেহারা – যাকে বলে সিংহ । তখনই আমাদের আসল লিডার ।”

“... টেনিদাকে নইলে আমাদের যে একটি দিনও চলে না । যেমন চওড়া বুক – তেমনি চওড়া মন । ... লোকের উপকারে এক মুহূর্তের জন্য তার ক্লান্তি নেই ... ফুটবলের মাঠের সেরা খেলোয়াড়, ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন । আর গল্পের রাজা । এমন করে গল্প বলতে কেউ জানে না ।”  

অতএব টেন চিয়ার্স ফর টেনিদা !
ইয়াক্ ইয়াক্ !

(আর হ্যাঁ, টেনিদা-র ত্রিতল বাড়ির ঠিকানা ১৮ নং পটলডাঙা স্ট্রিট, কলিকাতা । )

___________________________________________________________________________________ 

= হাবুল এবং ক্যাবলা-র নামও তাঁর দুই দেওরের ডাকনাম থেকে পাওয়া, জানিয়েছিলেন প্রভাত বাবুর স্ত্রী বাসন্তী মুখোপাধ্যায় 
(‘পটলডাঙার সেই টেনিদার বয়স এখন ৭৫’, দীপংকর চক্রবর্তী, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ ।
পুনঃপ্রকাশ : ‘টেনিদা সমগ্র’, ১৯৯৬, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, পৃষ্ঠা ৪৯৭ ।) 

= টেনিদা আর সিন্ধুঘোটক 

= ঝাউ-বাংলোর রহস্য  

= চার মূর্তির অভিযান 

= ভজহরি ফিলম কর্পোরেশন 
___________________________________________________________________________________

2 comments:

Arnab said...

খুব recently আনন্দবাজারের শনিবারের পাতায় নারায়ণ বাবুর বাড়িওয়ালা তথা টেনিদা যেখানে ছিলেন সে নিয়ে একটা মনোজ্ঞ লেখা পাই,ওটাও এই ব্লগে উল্লেখ পেতে পারে।

Unknown said...

ঠিক বলেছ । লেখাটির উল্লেখ অবশ্যই রাখব ।
অনলাইনে পড়া যাবে এই লিঙ্কে :
http://www.anandabazar.com/supplementary/patrika/the-lane-which-created-history-1.503555